• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

কৈশোরে ব্রণ: কারণ ও সমাধান

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২ মে ২০২১  

কৈশোরে হরমোনের তারতম্য তেল গ্রন্থির ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে এতে অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা দেয় ব্রণের সমস্যা। কারো কারো ক্ষেত্রে এটি প্রকট হয়ে ওঠে। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে কৈশোরে ব্রণ হওয়ার কারণ ও তার সমাধান দিয়েছেন ভারতীয় ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. স্তুতি খার ‍সুলেখা

ব্রণের সমস্যায় গুরুত্ব দেওয়া

সন্তানদের ব্রণ হওয়ামাত্র অবহেলা না করে বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখা। সন্তানদের বোঝাত হবে বিষয়টি একেবারে অবহেলার নয়। ব্রণ নিজ থেকে ভালো হয়ে গেলেও এর দাগ রয়ে যায় যা দূর করা কঠিন। তাই এই বিষয়ে শুরু থেকেই মনযোগ দেওয়া উচিত।

ত্বক বুঝে প্রসাধনী নির্বাচন

এক সময় প্রসাধনীকে শুধু মেয়েদের প্রয়োজন হিসেবে দেখা হলেও সময় বদলেছে। বর্তমান সময়ে ছেলে-মেয়ে উভয়ই প্রসাধনী ব্যবহার করে। কিন্তু ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রসাধনী ভিন্নতা রয়েছে। সব প্রসাধনী ত্বকবান্ধব নয়। তাই ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।  

ভাজাপোড়া ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বর্জন

ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবার, জাঙ্কফুড ইত্যাদি হরমোনের প্রভাব ফেলে ও তেল নিঃসরণ ঘটনায়। এতে ‘ব্রেআউট’, ব্রণ, ‘সিস্ট’ বা ফোঁড়া ইত্যাদি দেখা দেয়। ভালো খাদ্যাভ্যাস ব্রণ সমস্যাকে দূরে রাখতে পারে। তৈলাক্ত খাবার ‘ব্রেকআউট’য়ের ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে প্রোটিন, দুধের তৈরি খাবার ইত্যাদি ব্রণের সমস্যাকে আরও মারাত্মক করে তুলতে পারে।

সতর্ক থাকতে হবে আরও যেসব বিষয়ে

অনেক সময় ব্রণ সমস্যা গুরুতর রূপ নেয়। হরমোনের কারণে হওয়া ব্রণ গুরুতর রূপ লাভ করে ও এগুলো দূর করাও বেশ ঝামেলার। হরমোন পরিবর্তনে অনেক সময় ব্রণের পাশাপাশি চুল পড়া, ওজন বাড়া, শরীরে অতিরিক্ত লোম ওঠার সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।

পরিচ্ছন্নতা জরুরি
 
শরীরচর্চা, শারীরিক কর্মকাণ্ড বা বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই ত্বক ভালো মতো পরিষ্কার করতে হবে। কারণ ঘাম ত্বকের লোমকূপ আবদ্ধ করে ফেলে ও ব্রণ সৃষ্টি হয়।

ব্রণের সমস্যায় আরও যা মনে রাখা প্রয়োজন

ত্বকের প্রসাধনী যেমন- লোশন বা মেইকআপ ইত্যাদি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ‘নন-কমেডোজেনিক’ বা ‘একনিজেনিক’ নয় এমন প্রসাধনী বেছে নিতে হবে। এগুলো লোমকূপকে আবদ্ধ করে না। ফলে ত্বকে সমস্যা দেখা দেয় না।

চুলের জেল অনেক সময় অ্যালার্জির ‍সৃষ্টি করে। এটি যেন মুখে না লাগে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। ব্রণ খোঁচানো বা চাপলে আক্রান্ত জায়গায়  স্থায়ী দাগও তৈরি হতে পারে।

ব্রণের সমস্যা দেখা দিলে ত্বক বিশেষজ্ঞরা সাধারণত বেঞ্জয়েল পারঅক্সাইড, রেটিনয়েড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন। তাই ত্বক ব্রণমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে ব্যবহার বন্ধ করে দিলে পুনরায় ব্রণ ফিরে আসার ঝুঁকি থাকে।